প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মঙলকান্দি ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কুমিল্লা জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

সভাপতির বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন সাতানী ইউনিয়নস্থ মঙ্গলকান্দি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২খ্রিস্টাব্দে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। নাগরিকের এ অধিকার বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বপ্ন দ্রষ্টা কিছু মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, তদীয়অর্থ ও দেয়ভূমি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় যশোর জেলার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ধীরাজ ভট্টাচার্য্যরে স্মৃতি বিজড়িত কেশবপুর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ভালুকঘর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়”। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে সময়োপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করে তাদেরকে দক্ষ জনসম্পদ এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। কালের পরিক্রমায় ১৯৬৯ সালে জন্ম নেয়া এ প্রতিষ্ঠানটি ৫৩ বছর পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করে চলেছে এবং সর্ব শ্রেণির মানুষের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকায় সুনাম কুড়িয়েছে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল কাঙ্খিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ঈস্পিত ফলাফল অর্জনের দাবিদার। যার ফলশ্রুতিতে ভালুকঘর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এ সত্য প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। “আমরা শ্রেষ্ঠ নই, কিন্তু ব্যতিক্রম”। আমি বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।