প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
১৯৬৯ সালে ৮৮ শতক জমির ওপর ঐতিহ্যবাহী ভালুকঘর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ায় ১৫ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকদের অর্থায়নে ৪ রুমবিশিষ্ট দুটি টিনের চালার ঘরসহ ২ রুমবিশিষ্ট একটি আধাপাকা ভবন নির্মাণ করা হয়।
সভাপতির বাণী
মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!
প্রধান শিক্ষকের বাণী
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। নাগরিকের এ অধিকার বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বপ্ন দ্রষ্টা কিছু মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, তদীয়অর্থ ও দেয়ভূমি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় যশোর জেলার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ধীরাজ ভট্টাচার্য্যরে স্মৃতি বিজড়িত কেশবপুর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ভালুকঘর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়”। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে সময়োপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করে তাদেরকে দক্ষ জনসম্পদ এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। কালের পরিক্রমায় ১৯৬৯ সালে জন্ম নেয়া এ প্রতিষ্ঠানটি ৫৩ বছর পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করে চলেছে এবং সর্ব শ্রেণির মানুষের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকায় সুনাম কুড়িয়েছে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল কাঙ্খিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ঈস্পিত ফলাফল অর্জনের দাবিদার। যার ফলশ্রুতিতে ভালুকঘর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এ সত্য প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। “আমরা শ্রেষ্ঠ নই, কিন্তু ব্যতিক্রম”। আমি বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।